নাভি নারী দেহের অত্যন্ত সুন্দর একটি অঙ্গ। অনেক পুরুষ শুধু নাভি দেখেই পাগল হয়ে যায়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অপরিষ্কার থাকলে নাভির হয়ে ওঠে অসুন্দর। আর জেনে নিন আপনি কিভাবে আপনার নিজের নাভির যত্ন নেবেন।
গুমোট আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় আমাদের ত্বকের। খামখেয়ালি আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে এই সময় ত্বকের নানা সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। গরমের কারণে ট্যান, কালচে ছোপ ইত্যাদি আরও নানা সমস্যা বাড়তে থাকে। এর সমাধান খুঁজতে হয়রান হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়।
কিন্তু আমাদের শরীরেই এমন একটি স্থান আছে যেখানটায় একটু যত্ন নিলে খুব সহজেই এসবকিছু থেকে মিলবে সমাধান। সঠিকভাবে নাভির যত্ন নিতে পারলে শুষ্ক ত্বক, ত্বকের কালচে ছোপ, ব্রণ-ফুসকুড়ির মতো সমস্যা অনায়াসেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক- দাগ বা কালচে ছোপহীন, উজ্জ্বল, সুন্দর ত্বক পেতে কে না চায়! কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তা পাওয়া যায় না অনেক সময়। কিন্তু এর জন্য আছে সহজ একটি সমাধান। নিয়মিত নাভিতে আমন্ড তেল লাগিয়ে দেখুন। ফল পাবেন হাতেনাতে।
ত্বক যদি দীর্ঘ অযত্নের ফলে কালচে, নির্জীব হয়ে পড়ে, তাহলে নাভিতে পাতিলেবুর সঙ্গে নারিকেল তেল মিশিয়ে বা লেমন অয়েল লাগিয়ে দেখুন। উপকার পাবেন।
ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ি বা সাদা দাগের মতো সমস্যা থাকলে নাভিতে লাগান নিম তেল। ফল পাবেন ম্যাজিকের মতো। ত্বকের শুষ্কতা নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এই সমস্যা আরও বেড়ে যায় শীতকালে। এই সমস্যা সমাধানে নাভিতে নিয়মিত ঘি লাগাতে পারলে সহজেই রেহাই পাওয়া সম্ভব।
শীত-গ্রীষ্ম সব সময়ই ঠোঁট ফাটার সমস্যা লেগেই আছে? এটি বেশ যন্ত্রণাদায়কও। ফাটা ঠোঁটের সমস্যায় নিয়মিত নাভিতে সরিষার তেল লাগান আর ফল পান হাতেনাতে।
নাভি ২ ফোটা তেল খেলে দেখুন কি হয়
আপনি জেনে অবাক হবেন, সনাতন চিকিৎসা পদ্ধতি মানুষ এখনও অনুসরণ করে এবং বিশ্বাসও করে। ওইসব সনাতন চিকিৎসায় দারুণ ফলও পাওয়া যায়।
নির্দিষ্ট কয়েকটি তেল দু’তিন ফোটা নাভিতে ব্যবহার করলেই যাদুর মতো অনেক রোগ কমে যায় এবং এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।
তাহলে দেরি কেন? আসুন জেনে নেয়া যাক কোন তেল নাভিতে ব্যাবহারে আপনি কি কি রোগ সারাতে পারবেন; ফাটা ঠোঁট ও গিরায় ব্যথা: আপনার নাভিতে দু’তিন ফোটা সরিষার তেল দিন। এটা শুনে আপনার চোখ কপালে উঠতে পারে, মনে হতে পারে নাভির সঙ্গে ঠোঁট ও গিড়ার সম্পর্ক কি? তবে বিশ্বাস করুন কয়েক ফোটা সরিষার তেল নাভিতে দিয়ে মালিশ করলেই আপনার ঠোঁট ফাটা ও গিরার ব্যথা কমে যাবে।
গোপন দুর্বলতায়: নাভিতে ৪-৫ ফোটা নারিকেল বা অলিভ অয়েল দিয়ে মালিশ করুন। এটা সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে আপনার গোপন দুর্বলতা কমে যেতে শুরু করবে এবং এতে উর্বরতাও বাড়বে।
হাঁটু ব্যথা: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোটা ক্যাস্টর তেল মালিশ করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবেন আপনার ব্যথা কমে গেছে।
আসুন জেনে নেই নাভিতে তেল ব্যবহারের সুফল কিছু দিক
ত্বককে নমনীয় করে
নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল নাভিতে ব্যবহার করতে পারেন। এদের মধ্যে রয়েছে ইমোলিয়েন্ট ইফেক্ট এবং ফ্যাটি এসিড এর উপাদান সমূহ। পেটের উপরে কয়েক ফোঁটা তেল দিয়ে নাভি চারপাশ এবং পুরো পেটে তেল ভালোভাবে মালিশ করে নিন। দেখবেন ত্বক একদম নমনীয় হয়ে গিয়েছে।
ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে
নাভিতে প্রচুর ময়লা জমে খুবই বাজে অবস্থা হয়ে যায়। এই ময়লা পরিষ্কার করার জন্যে একটি কটনবাড তেলে ডুবিয়ে এরপর সেটার সাহায্যে নাভি পরিষ্কার করতে হবে। তেল মরা চামড়া এবং ময়লাকে সহজে উঠে আসতে সাহায্য করে। যেহেতু নাভি খুব একটা পরিষ্কার করা হয় না, নাভির ময়লা খুব শক্ত হয়ে আটকে থাকে। সেক্ষেত্রে খুব বেশী জোরাজুরি করলে নাভিতে ব্যথা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই খুব সাবধানের সাথে এই কাজটি করতে হবে।
Hot Navel Photo:
ইনফেকশন ভালো করতে সাহায্য করে
যেহেতু নাভি খুব দ্রুত ময়লা হয়ে যায় এবং সচরাচর নাভি পরিষ্কার করা হয়ে ওঠে না, সেহেতু নাভিতে জমে থাকা ময়লা থেকে ইনফেকশনের সৃষ্টি হয়। এছাড়া নাভি অনেক বেশী সময় ধরে আর্দ্র থাকলেও নাভিতে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে, সঠিক তেল ব্যবহার করলে নাভির ইনফেকশন দ্রুত সেরে যায়। টি ট্রি অয়েল সকল তেলের মধ্যে সবচেয়ে দারুণ কার্যকরী। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং এন্টি-ফাংগাল উপাদান।
পেটে ব্যথা ভালো হতে সাহায্য করে
পেটে ব্যথার জন্যে নাভিতে তেল দেওয়া খুবই কার্যকরী একটি উপায়। বিশেষ করে হজমে সমস্যা, ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং এর মতো সমস্যাগুলোতে নাভিতে তেল দেওয়া খুব দারুণ কাজে দেয়। পেটে ব্যথা কমানোর জন্যে আদা অথবা পুদিনা পাতার এসেনশিয়াল অয়েল ভালো কাজে দেয়। নিত্যদিনের ব্যবহার্য তেলে যেমন- নারিকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল এর সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
মাসিকে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে
প্রতি মাসে মাসিকের সময়টাতে প্রচণ্ড পেটে ব্যথার কারণে কমবেশি সকল নারীকেই ভুগতে হয়। তবে এই পেটে ব্যথা অনেকখানি কমিয়ে আনা সম্ভব নাভি এবং পেটে তেল ব্যবহার করার মাধ্যমে। সকল তেলের মাঝে পুদিনা পাতা অথবা আদার এসেনশিয়াল অয়েল সবচেয়ে বেশী ভালো কাজে দেবে। কয়েক ফোঁটা তেল নারিকেল কিংবা অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে নিয়ে পেটে খুব নমনীয়ভাবে ম্যাসাজ করলে কিছুক্ষণ পর দেখা যাবে ব্যথা কমে গেছে অনেকখানি।
কিভাবে মেয়েদের নাভির ম্যাসাজ করতে হয়
গর্ভধারণ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে উপকারী
নিয়মিত কিছু এসেনশিয়াল অয়েল নাভিতে ব্যবহারের ফলে শরীর অনেক রিল্যাক্স থাকে। ছেলেদের ক্ষেত্রে স্পার্ম ভালো থাকে, মেয়েদের মাসিকের সমস্যা কমিয়ে আনে এবং শরীরে হরমোনের প্রবাহ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
‘নাভাল চক্রর’ ভারসাম্য ঠিক রাখে
আপনি যদি আপনার ক্রিয়েটিভিটি ঠিক রাখতে চান তবে আপনাকে এই নাভাল চক্রটি ঠিক রাখতে হবে। কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল নারিকেল কিংবা অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে নাভিতে দিতে হবে এবং পুরো পেটে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন